সারা ভারতের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে, কয়েকশো অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে চাকরি.
সারা ভারতের বিভিন্ন কলেজ ও
বিশ্ববিদ্যালয়ে হিউম্যানিটিজ (ল্যাঙ্গোয়েজ-সহ), সোশ্যাল সায়েন্স, কম্পিউটার
সায়েন্স অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন ও ইলেক্ট্রনিক সায়েন্স ইত্যাদি বিষয়ে কয়েকশো
অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে চাকরি, জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ ও পিএইচ.ডি.
কোর্সে ভরতির জন্য 'ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (UGC-NET)' পরীক্ষার জন্য
দরখাস্ত নেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষা নেবে 'ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এন.টি.এ.)'।
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
হিউম্যানিটিজ (ল্যাঙ্গোয়েজ-সহ), সোশ্যাল সায়েন্স, কম্পিউটার
সায়েন্স অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন ও ন ইলেক্ট্রনিক সায়েন্সের পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট
ছেলেমেয়েরা মোট অন্তত ৫৫% (ও.বি.সি., তপশিলী ও প্রতিবন্ধী হলে ৫০%) নম্বর
পেয়ে থাকলে আবেদন করতে পারেন। এবছরের ফাইনাল পরীক্ষার্থীরা কিংবা যাঁদের
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্সের ফল এখনো বেরোয়নি, তাঁরাও আবেদনের যোগ্য। তবে
তাঁদের বেলায় 'নেট' পরীক্ষার ফল বেরোনোর ২ বছরের মধ্যে ওই শতকরা হারে নম্বর
পেয়ে পাশ করার বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে হবে।
মোট অন্তত ৭৫% (তপশিলী, ও.বি.সি. হলে ৭০%) নম্বর পেয়ে ৪ বছরের কিংবা ৮ সেমেস্টারের ডিগ্রি কোর্স পাশরাও আবেদনের যোগ্য।
১৯৯১
সালের ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যাঁরা মাস্টার ডিগ্রি কোর্স পাশ করে
পিএইচ.ডি. করেছেন, তাঁরা পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট কোর্সে ৫% নম্বরে ছাড় পাবেন।
২০০৯
সালের ইউ.জি.সি. আইনানুযায়ী পিএইচ.ডি. ডিগ্রি থাকলে অ্যাসিস্ট্যান্ট
প্রফেসর পদের জন্য এই 'নেট' পরীক্ষা দিতে হবে না। ২০০২ সালের ১ জুনের আগে
'সেট' পরীক্ষায় কোয়ালিফাই করে থাকলে সারা ভারতের যে কোনো জায়গায়
অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের জন্য 'নেট' পরীক্ষা দিতে হবে না। ২০০২ সালের ১
জুনের পর 'সেট' কোয়ালিফাই করলে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠানগুলিতে
অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বয়স: জুনিয়র রিসার্চ
ফেলোশিপের পরীক্ষার বেলায় বয়স হতে হবে ১-৬-২০২৫'এর হিসাবে ৩০ বছরের মধ্যে।
তপশিলী, ও.বি.সি., শারীরিক প্রতিবন্ধী ও মেয়েরা বয়সে ৫ বছর ছাড় পাবেন। তবে
অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের জন্য বয়সের কোনো কড়াকড়ি নেই।
এই
পরীক্ষায় পাশ করলে 'ক্যাটেগরি-।' হিসাবে সরাসরি অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর
পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন, মাসিক স্টাইপেন্ড নিয়ে জুনিয়র রিসার্চ
ফেলোশিপ নিয়ে পড়াশোনা চালাতে পারবেন কিংবা পিএইচ.ডি. কোর্সে ভরতি হতে
পারবেন।
'ক্যাটেগরি-।।' হিসাবে পাশ হলে সরাসরি অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন কিংবা পিএইচ.ডি. কোর্সে ভরতি হতে পারবেন।
'ক্যাটেগরি-।।।' হিসাবে পাশ হলে পিএইচ.ডি. কোর্সে ভরতি হতে পারবেন।
প্রার্থী
বাছাই পদ্ধতি: প্রার্থী বাছাই করবে 'ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি
(এন.টি.এ.)'। এই পরীক্ষা হবে ২১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। পরীক্ষা হবে
পূর্ব ভারতের এইসব কেন্দ্রে পশ্চিমবঙ্গের : কলকাতা (সিটি কোড WB10),
আসানসোল (সিটি কোড WB01), বর্ধমান (সিটি কোড WB02), দুর্গাপুর (সিটি কোড
WB04), হুগলি (সিটি কোড WB06), হাওড়া (সিটি কোড WB07), কল্যাণী (সিটি কোড
WB08), শিলিগুড়ি (সিটি কোড WB11), বাঁকুড়া (সিটি কোড WB16), মুর্শিদাবাদ
(সিটি কোড WB21), পশ্চিম মেদিনীপুর (সিটি কোড WB13), পূর্ব মেদিনীপুর (সিটি
কোড WB14), সিউড়ি (সিটি কোড WB22)।
এই
পরীক্ষায় থাকবে ২টি পত্র। প্রথম পেপারে অবজেক্টিভ মাল্টিপল চয়েজ টাইপের
১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে এইসব বিষয়ে: টেস্ট অফ রিজনিং এবিলিটি, রিডিং
কমপ্রিহেনশন, ডাইভারজেন্ট থিস্কিং অ্যান্ড জেনারেল অ্যাওয়ারনেস। এই পেপারে
মোট ৫০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতি প্রশ্নে থাকবে ২ নম্বর।
দ্বিতীয়
পেপারে অবজেক্টিভ টাইপের ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর।
এই পেপারে মোট ১০০টি প্রশ্ন থাকবে ও প্রতিটি প্রশ্নে থাকবে ২ নম্বর। প্রশ্ন
হবে ইংরিজি ও হিন্দিতে। প্রথম ও দ্বিতীয় পেপারে সময় থাকবে ৩ ঘন্টা।
নেগেটিভ মার্কিং নেই। পরীক্ষা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য ও সিলেবাস জানতে
পারবেন এই ওয়েবসাইটে: www.ugcnetonline.in কোয়ালিফাইং নম্বর পেলে সফল হবেন।
দ্বিতীয়
পেপারের পরীক্ষা হবে এইসব বিষয়ের মধ্যে যে বিষয়ে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট
হয়েছেন: অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, মনস্তত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, ইতিহাস,
নৃতত্ত্ব, বাণিজ্য, শিক্ষা, সোশ্যাল ওয়ার্ক, ডিফেন্স অ্যান্ড
স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ, হোম সায়েন্স, গণ প্রশাসন, পপুলেশন স্টাডিজ, সঙ্গীত,
ম্যানেজমেন্ট, বাংলা, হিন্দি, সংস্কৃত, উর্দু, আরবি, ইংলিশ,
লিঙ্গুয়িস্টিক্স, আসামীজ, লেবার ওয়েলফেয়ার, পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট, লেবার ও
সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন্স, হিউম্যান রিসোর্স
ম্যানেজমেন্ট, আইন, লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফর্মেশন সায়েন্স, ম্যাস কমিউনিকেশন
অ্যান্ড জার্নালিজম, পারফর্মিং আর্ট-ডান্স/ ড্রামা /থিয়েটার, মিউজিওলজি ও
কনজার্ভেশন, আর্কিওলজি, ক্রিমিনোলজি, কম্পারেটিভলিটারেচার, উইমেন স্টাডিজ,
ভিশু্যয়াল আর্ট (ড্রয়িং ও পেন্টিং, স্কাল্পচার, গ্রাফিক্স, অ্যাপ্লায়েড
আর্ট, হিস্ট্রি অফ আর্ট), কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন,
ফরেন্সিক সায়েন্স, সোশ্যাল মেডিসিন অ্যান্ড কমিউনিটি হেলথ, ভূগোল, হিস্ট্রি
অফ আর্ট, অ্যাপ্লায়েড আর্ট, গ্রাফিক্স, ইলেক্ট্রনিক সায়েন্স, এনভায়রণ
মেন্টাল সায়েন্স, ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড এরিয়া স্টাডিজ, মানবাধিকার ও
কর্তব্য, ট্যুরিজম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, সাঁন্তাড়।
দরখাস্ত করার পদ্ধতি:
দরখাস্ত করবেন অনলাইনে, ৭ মে'র মধ্যে। এই ওয়েবসাইটে: https://ugcnet.nta.ac.in, https://www.nta.ac.in
অনলাইনে দরখাস্ত করার আগে পাশপোর্ট মাপের ফটো (১০ থেকে ২০০ কেবির মধ্যে) ও
সিগনেচার (৪ থেকে ৩০ কেবির মধ্যে) 'JPEG Format'এ স্ক্যান করে নেবেন।
প্রথমে
ওপরের ওই ওয়েবসাইটে গিয়ে যাবতীয় - তথ্য দিয়ে সাবমিট করবেন। তখন সিস্টেম
জেনারেটেড অ্যাপ্লিকেশন নম্বর নোট করে নেবেন। এবার স্ক্যান করা ফটো ও
সিগনেচার আপলোড করবেন। তারপর পরীক্ষা ফী বাবদ ১,১৫০ (জেনাঃ ই.ডব্লু.এস. আর
ও.বি.সি.'দের বেলায় ৬০০, তপশিলী জাতি, তপশিলী উপজাতি, ট্রান্সজেন্ডার ও
প্রতিবন্ধীদের বেলায় ৩২৫) টাকা ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড বা নেট
ব্যাঙ্কিংয়ে জমা দেবেন, ৮ মে'র মধ্যে টাকা জমা দেওয়ার পর সিস্টেম জেনারেটেড
অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম প্রিন্ট করে নেবেন। আরো বিস্তারিত তথ্য পাবেন ওই
ওয়েবসাইটে। দরখাস্ত করার পর সংশোধন করতে পারবেন ৯ থেকে ১০ মে পর্যন্ত।
0 Comments